বুধবার, ১৮ আগস্ট, ২০১০

পান্থজনের সখা


এ বছর রবীন্দ্রনাথের জন্মের সার্ধশতবর্ষ। সারা দেশজুড়েই মহোৎসবের আয়োজন শুরু হয়েছে। শুধু দেশ বলি কেন, পৃথিবীর দেশে দেশে তোড়জোড় চলছে ‘যথাযোগ্য মর্যাদায়’ এই উপলক্ষ্যকে পালন করার। এটা ভাবলে ভুল হবে যে শুধু বাঙালিরাই এই আয়োজনের অঙ্গ হচ্ছেন। রবীন্দ্রনাথ যেমন একদিকে ছিলেন আদ্যোপান্ত বাঙালি, আবার একইসঙ্গে বিশ্বনাগরিক। এই দেড়শোর আয়োজনও ছড়িয়ে আছে বাঙালি-ভুবন থেকে অ-বাংলা ভুবন ব্যাপ্ত হয়ে। কেউ কেউ বলেন বাঙালিরা হুজুগপ্রিয়। যখনই কোনও হুজুগ আসে, বাঙালি সাড়ম্বরে সেই হুজুগে মেতে ওঠে। এবার এই ‘সার্ধশতবর্ষ’ ‘সার্ধশতবর্ষ’ বলে চেঁচামেচিটাও একটা হুজুগই। এই হুজুগকে ভর করে নির্বাচন-পূর্ববর্তী বছরে রঙ-নির্বিশেষে নেতারা যেমন খিড়কির দুয়ার দিয়ে একটু রাজনীতি করার সুযোগ পাবেন, ঠিক তেমনি মুনাফালোভী বাণিজ্যিকমহল এবার সবকিছু ছেড়ে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে উঠে পড়ে লাগবে মানুষের, বিশেষ করে বাঙালির রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কিত স্পর্শকাতরতাকে ব্যবহার করে দুপয়সা বাড়তি কামিয়ে নিতে।

রবীন্দ্রনাথকে যারা ভালোবাসে তারা শতবর্ষ কিংবা সার্ধশতবর্ষ বা দ্বিশতবর্ষের অপেক্ষায় থাকে না। তাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনের অঙ্গই রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে তারা নিজেদের সত্তার কথা ভাবতেই পারেন না। সুতরাং এই হুজুগ একেবারেই বাহুল্য, এর কোনও প্রয়োজন নেই। এমন একটা মত যে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে না, তা নয় কিন্তু। অনেকেই আশঙ্কায় আছেন, এই সুযোগে আবার রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কি পর্যায়ের টানাহ্যাঁচড়া হয়। এই হুজুগে যেমন ভেসে যাওয়া যায় না, আবার একে উপেক্ষাও করা যায় না। আমরা যদি সত্যিই রবীন্দ্রনাথকে সমকালের অঙ্গনে হাজির করে তার সাথে একটি সংলাপের সূত্রপাত করতে চাই, তবে এই মুহূর্তে বহমান প্রতিটি মতাভিমতকেই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। এই বিবেচনা করতে গিয়েই হয়ত উন্মোচিত হবে আজকের সমকালীন প্রেক্ষিতে আমাদের চিরকালীন এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের সাথে আমাদের সম্পর্কের মাত্রাটি।


একটু যদি আমরা নিজেদের দিকে আলো ফেলি, তবে দেখবো এক বিচিত্র সম্পর্কজালে জড়িয়ে আছেন রবীন্দ্রনাথ বাঙালির সাথে। একেবারে নিজের বৃত্ত থেকেই শুরু করি। গানের পরিসর থেকে। আমার বন্ধু শিল্পীদের মধ্যে যাঁরা, মফস্বলেই হোক আর মহানগরীতেই হোক, শুধু রবীন্দ্রনাথের গানকে অবলম্বন করে সঙ্গীতচর্চায় রত আছেন, তাঁরা আশঙ্কায় থাকেন অন্য গানের শিল্পীদের নিরিখে নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে। তাঁদের অভিমান, রবীন্দ্রনাথের গান শুধুমাত্র যাদের সম্বল, তাঁদের অনুষ্ঠান অন্য গানের শিল্পীদের তুলনায় অনেক কম। যদিওবা কোনও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হন, গান নির্বাচন করার আগে হাজার বার ভাবতে হয়, শ্রোতারা কোন স্তরের, রাত্রির কোন প্রহরে স্টেজ পাচ্ছেন এবং তখন কী গান গাওয়া সম্ভব এবং কোন্ গান অসম্ভব। আশঙ্কা, একটু এদিক ওদিক হলেই না দর্শক আসন থেকে টিটকিরি ভেসে আসে। অথচ রবীন্দ্রনাথ নাকি আমাদের সম্মিলিত অহংকার। ‘আমাদের একজন রবীন্দ্রনাথ আছে’ বলে শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে সব বাঙালিরই একটু গোপন অহঙ্কার রয়েছে। অবাঙালির সাথে কোনও তুলনামূলক তর্কে, ‘আপলোগকা কোয়ি রবীন্দ্রনাথ হ্যায়’ বলে একটুখানি অহংকার প্রকাশেরও চেষ্টা করেন অনেকে। আবার সেই অহঙ্কারী বাঙালি ভদ্রলোকেরই মোবাইলের রিংটোন শুনলে প্রাণপাখি উড়ে যাবে। কথায় কথায় তিনিই বলবেন হয়ত ‘রবীন্দ্রনাথের গান কিন্তু যাই বলেন মশাই একটু কিন্তু বোরিং, তুলনায়...’।

এমন একটি অদ্ভুত বৈপরীত্যের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর সৃষ্টির সাথে আজকের বাঙালির সহবাস। রবীন্দ্রনাথ যে গান বাঙালিকে দিয়েছেন, তা আদ্যন্তই বাংলার মাটিসঞ্জাত। বাংলার সাথে বিশ্বের যোগ যে মোহনায় সেখানেই তাঁর গানের জন্ম । আমাদের আবহমান অনাবিল বাংলা সুরে কথায় অদ্ভুতভাবে আত্মীকৃত হয়ে আছে রবীন্দ্রনাথের গানে। তার মানে এটা নয় যে সেখানে কাছের দূরের অন্য প্রতিবেশীর গানের ছোঁয়া পড়ে নি। উত্তর বা দক্ষিণ ভারতীয় মার্গসঙ্গীত বা পাশ্চাত্য সঙ্গীত, যাই হোক, রবীন্দ্রনাথের গানে এসেছে তা একটি বাঙালি অবয়ব নিয়ে। রবীন্দ্রনাথের গানের বাণীর যে উন্মোচনের ভাষা, তাও সম্পূর্ণতই বাংলার আবহমান গানের ধারার উত্তরাধিকার বহন করছে। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের সন্ধ্যাভাষা যা আমাদের লোকগানের বাণীতেও বহুস্তরীয় বাচন এনেছে, তা রবীন্দ্রনাথের গানেও স্পষ্ট। লোকগানে অভিসন্ধিতে বলার যে একটি ধারা রয়েছে, রবীন্দ্রনাথের গানের ভাষাতেও রয়েছে তারই উদ্ভাস। এতটা সর্বব্যাপী বাঙালিত্ব যে গানে সেই গানের উত্তরাধিকার কতটা রয়েছে আজকের বাঙালির সঙ্গীত শ্রবণ ও গায়নে, তা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। যে বাঙালিকে রবীন্দ্রনাথ দিয়েছেন ‘তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা/তুমি আমার সাধের সাধনা/ ...মম মোহের স্বপনঅঞ্জন তব নয়ন দিয়েছি পরায়ে/অয়ি মুগ্ধনয়নবিহারী’র মত পংক্তি তার উত্তরাধিকার ‘পাছা পেড়ে শাড়ি হয়ে দুলব তোমার কোমরে’ বা ‘ওরে আমার টুকুন, তোমার মাথায় খুঁজব আমি ভালোবাসার উকুন’। এই বাঙালিরও স্বজাতি বুঝি রবীন্দ্রনাথ? পঞ্চাশের দশক থেকে যে বাংলা আধুনিক গান বাঙালিকে দোলালো, তা সঙ্গীতের ক্ষেত্রে যে সিদ্ধিই লাভ করুক, গানে তা আটকে থাকল তার ‘ বাণিজ্যিক থিয়েটার মঞ্চের গান’ মার্কা ভাষার জন্যে। বলা বাহুল্য, এটা কোনও সাধারণীকৃত মন্তব্য নয়, সাধারণ প্রবণতা সম্পর্কে অভিমত।

নব্বইয়ের দশকে সুমনের হাত ধরে (তাঁর বর্তমান রাজনীতি যাইহোক, আগামীতে তিনি যদি শিবসেনাও হয়ে যান তবু) বাংলা গান একটি মুক্তিপথের ইঙ্গিত পেয়েছিল এবং তার বহিরঙ্গে যতই পাশ্চাত্যের আভাস থাক, স্পষ্টতই সেখানে ছিল একটি রাবীন্দ্রিক উত্তরাধিকার। এই কথাটি হয়ত একটু বাড়তি ব্যাখ্যা দাবি করে। রবীন্দ্রনাথ তাঁর গানে যে আবহমান বাংলা গানের ধারাকে বহন করেছেন, তার একটি ধারাবাহিকতা সুমনের গানে স্পষ্টভাবেই লক্ষ্য করা যায়। রবীন্দ্রনাথের গানে যেমন কীর্তন কিংবা লোকসুর কিংবা দক্ষিণ ভারতের সুর বা পশ্চিমী সুর আশ্চর্যজনকভাবে বঙ্গীকৃত হয়ে যায়। সুমনের গানেও রয়েছে তেমনি আভাস। বিষয়টি একটি ভিন্ন নিবন্ধের বিষয় হতে পারে বিবেচনায় আপাতত প্রসঙ্গান্তরে যাই। সুমন-পরবর্তী শিল্পীরা, যাঁরা তাঁর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন বলে দাবি করেন, তাঁরা যখন রবীন্দ্রসঙ্গীতকে ‘রবীন্দ্রনাথের গান’ ইত্যাদি নতুন মোড়কে হাজির করেন, তখন তাঁরা যে ধরনের ব্যাপার স্যাপার করে বসেন, তাকে আর যাই বলা হোক ইতিবাচক বলা যাবে না। কিন্তু ‘জীবনমুখী’ ঘরানার গুরুঠাকুর যাকে বলেন তাঁরা সেই সুমন কিন্তু রবীন্দ্রনাথের গান গাইতে গিয়ে কখনই অহেতুক প্রথাভাঙার নামে কোনও কিম্ভূতকিমাকার কা- করেন নি। তিনি গিটার হাতে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইলেও কোনও উটকো ‘উত্তরআধুনিকতা’র দেখনদারি করেন নি।

যাইহোক, আলোচ্য বিষয়, রবীন্দ্রনাথের গানের উত্তরাধিকার। আমাদের সমকালের বাংলা গানে রবীন্দ্রনাথের একটি সর্বগামী উত্তরাধিকার গড়ে তোলার কাজটি কিন্তু আজও ‘হয় নি সাধা’। উত্তরাধিকার বলি কেন, রবীন্দ্রনাথের গানের সাথে যথার্থ সংলাপ কি আমরা গড়ে তুলতে পেরেছি আজো। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে আমাদের সামূহিক জীবনে, মননে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে রবীন্দ্রনাথের গান তাকে কি সঠিকভাবে আবিষ্কার করতে পেরেছি। সার্ধশতবর্ষে সহজ রাস্তায় কর্তব্য সমাধা না করে এই কাজটি কি করতে পারবেন আজকের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কর্মীরা? বলা মুশকিল। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের দেখার চোখটাকেই পাল্টাতে হবে। কোন গানে রবীন্দ্রনাথের সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী মনোভাব আর কোন গানে রবীন্দ্রনাথ শ্রমজীবী মানুষের সহযাত্রী, এ ধরণের খণ্ডিত অন্বেষণ দিয়ে রবীন্দ্রনাথের কাছে পৌঁছনো যাবে না। চারপাশে ঘুর ঘুর করাই হবে মাত্র।

রবীন্দ্র শতবর্ষ আমাদের পরিচিত দুটি বাংলা এবং অজানা তৃতীয় বাংলায় তিনটি পৃথক পৃথক মৌলিক অগ্রগতির কাজ করতে সমর্থ হয়েছিল। একটা সময়ে রবীন্দ্রনাথের গান ছিল ক্ষুদ্র গণ্ডীর ভেতরে বন্দী। রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষের সর্বব্যাপী আয়োজনের সঙ্গী হয়ে রবীন্দ্রনাথের গান বৃত্ত ভেঙে পশ্চিম বাংলার পৌঁছে যায় ঘরে ঘরে। জন্মশতবর্ষের পরেই বাঙালি একঝাঁক রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীকে বরণ করে নেয় নিজেদের সাঙ্গীতিক অহঙ্কার হিসাবে। পশ্চিমবঙ্গের এই ঘটনার অভিঘাত বলা বাহুল্য পড়েছিল বাংলার অন্য জনপদেও। পূর্ব বাংলায় রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষ এসেছিল এক সংগ্রামের পটভূমিতে। মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও দ্বিজাতিতত্ত্বের অন্ধগলি পেরিয়ে পূর্ব বাংলার মুসলিম বাঙালির অসাম্প্রদায়িক বাঙালিত্বে ফিরে আসাটা সম্ভব হয়েছিল রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষ উদযাপন সমারোহের মধ্য দিয়ে। সেখান থেকেই মূর্ত হয়ে উঠেছিল একটি স্বতন্ত্র জাতিরাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশের বাস্তবতা। প্রকৃতপক্ষে বলা যায়, বাঙালি পূর্ব বাংলায় ‘ঘরে ফিরেছে’ রবীন্দ্রনাথকে সঙ্গী করে। অন্যদিকে, বাঙালির তৃতীয় ভুবন বরাক উপত্যকায় রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষে কবিপক্ষে শিলচর শহরে রেলস্টেশনে ১১ জন তরুণতরুণী পুলিসের বুলেটে জীবন আহুতি দিয়েছে রবীন্দ্রনাথের ভাষায় শিক্ষালাভের অধিকার পাওয়ার জন্যে, রবীন্দ্রনাথের ভাষায় জীবন সাধার জন্যে, সরকারি কাজকর্মের সুযোগ পাওয়ার জন্যে। রবীন্দ্রনাথকে সঙ্গী করে বরাক উপত্যকার মানুষ তার ভাষার অধিকারের লড়াই লড়েছে। সে জেনেছে, একটি বহুভাষিক পরিম-লে প্রত্যেকটি জনগোষ্ঠীর অধিকার রয়েছে নিজের মাতৃভাষায় জীবন সাধার।

শতবর্ষে রবীন্দ্রনাথ এসেছিলেন এভাবেই। এবার এসেছে সার্ধশতবর্ষ। কিভাবে দেখবে বাঙালি রবীন্দ্রনাথকে? আজ বিশ্বায়নের ভুবনমোহিনী জালে মধ্যবিত্তমন কুহকের সন্ধানী। বাজার তার সর্বগ্রাসী চেহারা নিয়ে মন ও মননকে তার সাম্রাজ্যের অধীন করতে চাইছে। বাঙালির তিনটি ভুবনও তার এই সর্বগ্রাসী সর্বনাশ ছাড়াও তার নিজস্ব সঙ্কট সম্পদ নিয়ে প্রতীক্ষা করছে এই সার্ধশতবর্ষের। পশ্চিম বাংলায় তীব্র হয়ে উঠেছে এক সর্বনাশা হিংসার রাজনৈতিক সংস্কৃতি, যে বহুত্বের সমাজ আদর্শ দিয়ে রবীন্দ্রনাথকে আমরা চিনি, সেই আদর্শ আজ বিপন্ন। অন্যদিকে, আমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে কর্পোরেট সংস্কৃতির হুজুগের ছায়া। এক চীৎকৃত সংস্কৃতির বোধন চলছে যেন চতুপার্শ্বে। এখানে রবীন্দ্রনাথের উজ্জ্বল উপস্থিতি কিভাবে অনুভব করব আমরা? কেউ বলবেন, এই অন্ধকারে একবার রবীন্দ্রআলোয় দেখে নিই আমাদের মুখ। বুঝে নিই আমাদের পথ। অন্যদিকে ওঁত পেতে আছে বাজার। আপ্রাণ চাইছে এই সঙ্কটের বাজারে রবীন্দ্রনাথকে হৃজুগের পণ্য করে কিছু কামিয়ে নেওয়া যায় কিনা। এর ইঙ্গিত খুবই স্পষ্ট চারদিকে। উল্টোদিকে, রয়েছে নিবেদিতপ্রাণ শিল্পীরা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের কর্মীরা। তাঁরাও কিন্তু বিগত দিনে তাঁদের কাঙ্খিত ভূমিকা যথার্থভাবে পালন করেন নি। সম্ভবত বুঝতে পারেন নি বলেই। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথকে আত্মীকৃত করে নেবার কাজটিই অসম্পূর্ণ থেকেছে এতদিন। এবার সেই কাজটি কি হবে? সবশেষে, বাংলাদেশ লড়ছে একটি নতুন বাস্তবতায়। একাত্তরের স্বাধীনতার ভাবাদর্শকে পথভ্রষ্ট করেছিল যারা তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে একটি রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক লড়াই চলছে সেখানে। এই মুহূর্তে প্রগতির শক্তি আগুয়ান সে দেশে। এই পটভূমিতেই তাঁদের কাছে হাজির সার্ধশতবর্ষ। রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষের মত এই উদযাপনও তাদের নতুন পথ দেখাতে পারে।

ফলে সার্ধশতবর্ষে রবীন্দ্রনাথ সত্যি অর্থেই সুকান্তের ভাষায় ‘নতুনরূপে দেখা’ দেবেন রবীন্দ্রনাথ। আমাদের কাজ সেইরূপটিকে যথার্থ সংজ্ঞায়িত করা।